Uncategorized

ADC

ADC হলো DAC এর বিপরীত। এনালগ সিগন্যাল কে এনালগ ডিজিটালে কনভার্ট বা রুপান্তরিত করার মাধ্যম বা পদ্ধতিকে ADC বলা হয়।মনে করো তোমার একটি জাদুকরী ট্রান্সলেটর আছে যেটা তোমার চিত্রকল্পকে শব্দে রুপান্তর করতে পারে । তুমি রঙবেরঙের চিত্রকল্প বা ছবি পছন্দ করো এবং এটা তুমি তোমার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছো । কিন্তু তুমি যে বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছো সে শুধুমাত্র শব্দ বুঝতে পারে,ছবি বা চিত্রকল্প বুঝতে পারে না । এই ট্রান্সলেটর তোমার ছবিকে শব্দে রুপান্তর করতে পারে যাতে তোমার বন্ধু এটা বুঝতে পারে ।
ADC, যা এনালগ-টু-ডিজিটাল কনভার্টার, এটি গেজেটগুলোকে বাস্তব জগত সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে । তুমি হয়তবা জান যে গেজেটগুলো এক ধরনের ডিজিটাল ভাষা ( 0 and 1 ) ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন বা কাজ করে থাকে । কিন্তু বাস্তব জগতে অনেক কিছু আছে যেমন তাপমাত্রা,আলো,শব্দ এটা অনেকটা রঙবেরঙের চিত্রকল্প বা ছবি এর মতো ।
কিভাবে কাজ করে : মনে করো তোমার একটি থার্মোমিটার আছে যা তোমাকে একটি স্কেলে সংখ্যার সাহায্যে তাপমাত্রা নিরদেশ করে বা দেখাই । কিন্তু তোমার কম্পিউটার শুধুমাত্র দুইটা সংখ্যা বোঝে 0 ও 1 । ADC অনেকটা তোমার জাদুকরী ট্রান্সলেটর এর মত । এটা থার্মোমিটার থেকে এনালগ তাপমাত্রা ( যেটা তোমার রঙবেরঙের চিত্রকল্প এর মত ) নিয়ে ডিজিটাল তাপমাত্রাই রুপান্তর করে যা তোমার কম্পিউটার পড়তে ও বুঝতে পারে ।
এটা অনেকটা তোমার চিত্রকল্পকে গল্পের বইয়ে রুপান্তর করা যা যে কেউ পড়ে বা দেখে বুঝতে পারে । ADC এই কাজটা খুব দ্রুত সম্পন্ন করে । আর গেজেটগুলো এর মাধ্যমে শব্দ,আলো ও তাপমাত্রা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে ।
গ্যাজেটগুলি তাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে ADC ব্যবহার করে। ঠিক যেমন তুমি তোমার রঙিন পেইন্টিংগুলি বন্ধুদের সাথে ভাগ করতে চাও, ঠিক তেমনি গ্যাজেটগুলি বাস্তব জগতকে বুঝতে চায় এবং এতে থাকা সমস্ত রঙ এবং শেডগুলি বোঝাতে চায়৷
সুতরাং, মনে রাখবে যে ADC হল একজন অনুবাদকের মতো যা গ্যাজেটগুলিকে বাস্তব-বিশ্বের জিনিসগুলিকে ডিজিটাল ভাষায় পরিণত করতে সাহায্য করে, যেমন প্রত্যেকের বোঝার জন্য চিত্রগুলিকে শব্দে পরিণত করা ।

Leave a Reply